শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন

পেশকারের ভুলে ছাড়া পাওয়া পুলিশ কনস্টেবলকে জেলহাজতে প্রেরণ

পেশকারের ভুলে ছাড়া পাওয়া পুলিশ কনস্টেবলকে জেলহাজতে প্রেরণ

বগুড়ায় পেশকারের ভুলে জেল থেকে ছাড়া পাওয়া যৌতুক মামলার আসামি সেই পুলিশ কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন জুয়েলকে (৩৬) জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি সোমবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন। বিচারক সঞ্চিতা ইসলাম তা নামঞ্জুর করেন।

জেল সুপার মনির আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে আদালত পেশকার জুয়েল হোসেনকে শোকজ করেছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ সার্কেল অফিসের কনস্টেবল কাম-কম্পিউটার অপারেটর আনোয়ার হোসেন জুয়েল বগুড়া শিবগঞ্জের মোকামতলা ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের মৃত আনসার আলীর ছেলে। তিনি একই উপজেলার শিয়ালী মাস্টারপাড়ার মৃত ওসমান আলীর মেয়ে খাতিজা আকতারকে বিয়ে করেন।

দাম্পত্য কলহে খাতিজা আকতার স্বামী জুয়েলের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেন। এছাড়া খাতিজার বড় বোন সেলিনা আকতার তার (জুয়েল) বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা করেন।

যৌতুক মামলায় বগুড়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালত তাকে এক বছর পাঁচ মাস সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।

অপরদিকে চেক জালিয়াতির মামলায় বগুড়ার প্রথম যুগ্ম জজ আদালত তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও চার লাখ টাকা জরিমানা করেন।

এদিকে পুলিশ দুটি মামলার সাজা পরোয়ানামূলে সাজাপ্রাপ্ত আসামি পুলিশ কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন জুয়েলকে গ্রেফতার ও গত ৯ জুন বগুড়া জেলহাজতে প্রেরণ করে। ১২ জুন প্রথম যুগ্ম জজ আদালতে হাজির হয়ে দুই লাখ টাকা জমা দিয়ে জামিন লাভ করেন।

যৌতুক মামলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা শায়লা সাজাপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার হোসেন জুয়েলকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাতে ও ১৩ জুন আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন।

অন্যদিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর পেশকার জুয়েল হোসেন যৌতুক মামলার বাদী খাতিজা আকতারকে আসামি দেখিয়ে জেলে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রেরণ করেন। এ নামে কেউ না থাকায় জেল কর্তৃপক্ষ চেক জালিয়াতির মামলায় জামিন পাওয়া পুলিশ কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন জুয়েলকে মুক্তি দেন।

ওয়ারেন্টের আসামি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। আদালত পেশকার জুয়েল হোসেনকে শোকজ করেন।

বাদীর আইনজীবী সাজিদ ওয়াসিক বাঁধন জানান, আসামি আনোয়ার হোসেন জুয়েল সোমবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। বিচারক সঞ্চিতা ইসলাম নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

জেল সুপার মনির আহমেদ জানান, বিকালে আনোয়ার হোসেন জুয়েলকে জেলে পাঠানো হয়েছে।

পেশকার জুয়েল হোসেন জানান, ওই ভুলের জন্য আদালত তাকে শোকজ করেছিলেন। তিনি এর জবাবও দিয়েছেন। এরপর আদালত কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877